Archives: All articles - Bangla

বিহার: বিজেপি-বিরোধী জোটের পরীক্ষা

আগামী তিন মাস ভারতীয় রাজনীতিতে যে বিষয়টির উপর সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে, সেটি হল বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফল কী হয়, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতির পক্ষে সেটা গুরুত্বপূর্ণ হতে বাধ্য। নীতীশ কুমারকে সামনে রেখে জেডিইউ এবং আরজেডি’র যে জোটটি ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ, বিজেপি ও তার সঙ্গীরা যদি তাকে হারিয়ে বিহারে ক্ষমতা দখল করতে পারে, তা হলে নরেন্দ্র মোদীর সমর্থকরা আরও অনেক জোর গলায় বলবেন, তিনিই ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’-এর অবিসংবাদী সর্বাধিনায়ক। কিন্তু যদি সেটা না হয়, তা হলে মোদীকে তাঁর দলের...

Continue Reading
এই মাপের দুর্নীতি ভারতেও বিরল

দুর্নীতি দেখেনি, এমনটা নয়। প্রতাপশালী রাজনীতিক, প্রভাবশালী আমলা আর মহাকোটিপতি ব্যবসায়ীদের দুষ্টচক্র আমাদের চেনা। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত বা সাক্ষী খুন? তা-ও বহু বার দেখেছে ভারত। তা হলে ব্যপম কাণ্ডে এমন কী হল, যার ধাক্কায় শিবরাজ সিংহ চৌহানের দশ বছরের পুরনো মসনদও টলমল করছে, দিল্লিতে বিজেপি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? নরেন্দ্র মোদীর মুখে কুলুপ, বিজেপি-র অন্য অনেক নেতা হরেক কুযুক্তি সাজিয়ে বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছেন, এবং আশঙ্কা হচ্ছে, সেই চেষ্টা বুমেরাং হয়ে ধেয়ে আসতে পারে ভোপাল ও দিল্লির...

Continue Reading
শিশুশ্রম আইন, না শিশু শোষণ আইন

শি শুশিক্ষায় যাতে কোনও বাধা না পড়ে, সেই উদ্দেশ্যেই নাকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১২ সালের শিশু শ্রম নিবারণী আইনে নতুন সংশোধনী যোগ করার সিদ্ধান্ত হল। অতঃপর শিশুরা আইনত বাড়িতে ও পারিবারিক ব্যবসায় কাজ করতে পারবে। তাতে ভারতীয় সমাজের নিজস্ব কাঠামোটির কী লাভ হবে, নরেন্দ্র মোদীই জানেন— কিন্তু, যে উদ্দেশ্যে এ আইন তৈরি হয়েছিল, তার মূলে আঘাত করল এই সংশোধনী। শোষণ থেকে শিশুদের বাঁচানোর রাস্তাটাই বন্ধ হয়ে গেল। ১৯৮৬ সালের শিশুশ্রম নিবারণী আইনে বলা হয়েছিল, শিশুদের ১৮টি নির্দিষ্ট পেশায়, এবং ৬৫ ধরনের কাজে...

Continue Reading
Modi government should admit faults

প্র থম বছর না পুরোতেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের মধুচন্দ্রিমা, ‘শেষ হল’ না বলে বলাই যায়, হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। এটা ঠিক যে এই মুহূর্তে মোদী সরকারের সামনে তেমন কোনও বড় সংকট নেই। এটাও ঠিক যে, এখন যাঁরা তাঁর সমালোচক, তাঁদের অনেকেই এক বছর আগে তাঁর আদ্যন্ত সমর্থক ছিলেন। এবং সেটাই তাঁদের হতাশা ও ক্ষোভের প্রধান কারণ। মোদীর উপর ভর করে একটা ‘বিগ ব্যাং’ সংস্কারের প্রত্যাশায় ছিলেন যাঁরা, তাঁরাই আজ বিক্ষুব্ধদের প্রথম সারিতে। ব্যাপারটা প্রত্যাশিত ছিল না কি? ভোটের সময়ে মোদীকে ঘিরে যে ধরনের একটা অবাস্তব প্রত্যাশা...

Continue Reading
সিংহ জাতীয় পশু? কেন?

ন্যা শনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ (এনবিডব্লিউএল) কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে। সম্প্রতি রাজ্যসভার এক সদস্য এই প্রতিষ্ঠানকে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। বাঘের বদলে সিংহকে ভারতের জাতীয় পশু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব। দেশের বন্যপ্রাণীর সংখ্যা দ্রুত কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে ভারত সরকার ১৯৫২ সালে ইন্ডিয়ান বোর্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ নামে একটি উপদেষ্টা গোষ্ঠী গঠন করে, প্রধানমন্ত্রী হন তার চেয়ারম্যান। ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইন প্রণীত হয়। ২০০২ সালে সেই আইন সংশোধন করে একটি...

Continue Reading
বিজেপি যে অস্ত্রে ঘায়েল, সেটি বুমেরাং

আমাদের ঠাকুরদা-ঠাকুমারা একটা কথা বলতেন। অহঙ্কার ও বোকামি: এই দুটি জিনিস যদি কারও চরিত্রে একসঙ্গে মিশে যায়, তবে তার পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না। ২০১৪ সালের জয়ের পর বিজেপি ভেবে নিয়েছিল, একা নরেন্দ্র মোদীর নাম তাদের হয়ে ভারতে সুনামি বওয়াবে, দেশের যে কোনও জায়গায় তাদের জিতিয়ে দেবে। এটা একটা অহঙ্কার। আর, দলের পক্ষ থেকে তেমন কিছুই কাজকর্ম না করে শেষে কিরণ বেদীকে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী স্থির করা— চূড়ান্ত বোকামি। ফলে মঙ্গলবার দিল্লির নির্বাচনের ফলাফলে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। যা হওয়ার ছিল তা-ই হয়েছে।...

Continue Reading
তেলের দাম কমছে: যত হাসি তত কান্না

পেট্রোলিয়মের আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। গত জুন মাসে বিশ্ব বাজারে এক ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ১১৫ মার্কিন ডলার, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেটা নেমে দাঁড়িয়েছে ৬০ ডলার, অর্থাত্‌ প্রায় অর্ধেক। এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। কেউ ভাবেনি, পেট্রোলিয়মের দাম ছ’মাসের মধ্যে অর্ধেক হয়ে যাবে। কেন এমন হল? দুটি কারণের কথা বিশেষ করে বলা হচ্ছে। এক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘শেল অয়েল’ অর্থাত্‌ পাথরের খাঁজে সঞ্চিত তেলের বিরাট ভাণ্ডারের আবিষ্কার এবং তার ব্যবহারের ফলে তেলের জোগান অনেক...

Continue Reading
মার্কিন চাপ ও মোদীর ওষুধ নীতি

নরেন্দ্র মোদী নিজের পিঠ চাপড়ালে অবাক হওয়ার কারণ নেই। হাজার হোক, বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন (ডব্লিউটিও) খাদ্যশস্য মজুত করার পরিমাণের যে নতুন ঊর্ধ্বসীমা স্থির করতে চাইছে, তাতে ভারতের আপত্তি মেনে নিয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, এই ‘কূটনৈতিক জয়’-এর উল্টো দিকে যে ছবিটা আছে, সেটা নিঃশর্ত নতিস্বীকারের। ভারত সরকার পরম আগ্রহে মার্কিন সরকার ও সে দেশের বৃহদায়তন ওষুধ সংস্থাগুলির (‘বিগ ফার্মা’ নামে যারা বেশি পরিচিত) আবদার মেনে নিয়েছে। ফল দেশবাসীর পক্ষে মারাত্মক হতে পারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম থেকে...

Continue Reading
দেওয়ালের লিখন পড়ে আতঙ্ক হচ্ছে

দিদি আর দাদার মধ্যে কুরুক্ষেত্র বেধে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত বড় স্পর্ধা যে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন: অমিত শাহ কে? উত্তর মিলল রবিবার, কলকাতার একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি ঘোষণা করলেন: তিনিই তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে একেবারে বাংলা-ছাড়া করবেন। বক্তৃতার লড়াই থাকুক, কিন্তু এই রাজনৈতিক দ্বৈরথ যে ভাবে চলছে এবং যে দিকে যাচ্ছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে সুলক্ষণ নয়। চল্লিশের দশকে বাংলায় যে সাম্প্রদায়িক হানাহানি দেখা গিয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার...

Continue Reading