ভারতের ইতিহাসে বড় শিল্পপতি এবং তাঁদের আকাশছোঁয়া সাফল্যের নিদর্শন কম নয়। বিভিন্ন সময়ে এঁদের অনেকেরই ব্যবসা-সাম্রাজ্য প্রসারিত হয়েছে তীব্র গতিতে। হাতের কাছেই উদাহরণ— টাটা গোষ্ঠী, বিড়লা গোষ্ঠী (বিশেষত বিভাজনের আগে), অম্বানী গোষ্ঠী ইত্যাদি। কিন্তু সম্ভবত এঁদের সেই গতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে গৌতম আদানির নেতৃত্বে আদানি ঘরানা। যে ভাবে আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসা ভারতের অর্থ-ব্যবস্থার আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে ডানা মেলেছে, তার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে তাদের একটা ‘দখল’ বা নিয়ন্ত্রণ তৈরি হয়েছে, তা সত্যি বলতে অনেককে আশ্চর্য...
৩০ জানুয়ারি, মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর মৃত্যুদিনে শ্রীনগরে শেষ হল কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা। পদব্রজে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পৌঁছতে রাহুল গান্ধীর লেগেছে ১৩৫ দিন। প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার হেঁটেছেন তিনি। প্রায় চার হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ রাহুল অতিক্রম করেছেন ১৩টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে।চলতি বছরে কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যওয়াড়ি নির্বাচনে পরিমাপ করা যাবে না ভারত জোড়ো যাত্রার ফসল কতটা ঘরে তুলতে পেরেছে কংগ্রেস।...
আজ নতুন নয়। যুগ যুগ ধরে, হয়তো সেই আদম-ইভের সময় থেকেই নিষিদ্ধ ফলে আমাদের আকর্ষণ বেশি— চিরকাল।সম্ভবত সেই কারণেই বার বার দেখা গিয়েছে, কোনও বই নিষিদ্ধ করা হলে, তা পড়ার জন্য বহু জনের উৎসাহ বাড়ে। তাগিদ বাড়ে যেখান থেকে হোক, তা খুঁজে বার করার। কোনও চলচ্চিত্রের উপরে নিষিদ্ধ (ব্যান) তকমা সেঁটে দিলে, তৈরি হয় তা দেখার বাড়তি তাগিদ। স্বাভাবিক আকর্ষণেই। আর সত্যি বলতে, আজকের এই ইন্টারনেটের জাল-বিস্তৃত যুগে কোনও কিছুকে স্রেফ নিষিদ্ধ বলে দাগিয়ে দিয়ে চোখের আড়াল করাও শক্ত।এই যখন পরিস্থিতি, তখনই সম্প্রতি ভারত...
আজ নতুন নয়। যুগ যুগ ধরে, হয়তো সেই আদম-ইভের সময় থেকেই নিষিদ্ধ ফলে আমাদের আকর্ষণ বেশি— চিরকাল।সম্ভবত সেই কারণেই বার বার দেখা গিয়েছে, কোনও বই নিষিদ্ধ করা হলে, তা পড়ার জন্য বহু জনের উৎসাহ বাড়ে। তাগিদ বাড়ে যেখান থেকে হোক, তা খুঁজে বার করার। কোনও চলচ্চিত্রের উপরে নিষিদ্ধ (ব্যান) তকমা সেঁটে দিলে, তৈরি হয় তা দেখার বাড়তি তাগিদ। স্বাভাবিক আকর্ষণেই। আর সত্যি বলতে, আজকের এই ইন্টারনেটের জাল-বিস্তৃত যুগে কোনও কিছুকে স্রেফ নিষিদ্ধ বলে দাগিয়ে দিয়ে চোখের আড়াল করাও শক্ত।এই যখন পরিস্থিতি, তখনই সম্প্রতি ভারত...
বিশ্বকাপ ফুটবলের রেশ এখনও কাটেনি। তাই এক ঝলকে কোনও ফুটবল ম্যাচের স্কোরলাইন মনে হওয়া হয়তো একেবারে অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু আদতে এটি গত এক দশকে সম্ভবত সব থেকে বেশি চর্চিত বিষয় সম্পর্কে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিন্যাস। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়: ২০১৬ সালের নভেম্বরে নোট বাতিল করা হয়েছিল আইন মেনেই। বেঞ্চের চার বিচারপতি (এস আব্দুল নাজ়ির, বি আর গাভাই, এ এস বোপান্না এবং বি রামসুব্রমনিয়ন) বলেছেন যে, পুরোদস্তুর আইন মেনেই নোটবন্দি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পদ্ধতিগত ত্রুটি...
যেমনটা ভাবা গিয়েছিল, অনেকটা সে রকমই। গুজরাতে বিজেপি। হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস। আর দিল্লি পুরভোটে আম আদমি পার্টি (আপ)। সাম্প্রতিক তিন ভোটে জয়তিলক আঁকা হল তিন দলের কপালে।তবে সব কিছু সম্ভবত মিললও না। যেমন, টানা ২৭ বছর ক্ষমতায় থাকা দলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা, বাধ্য হয়ে একের পর এক মুখ্যমন্ত্রী বদল, ভোটের মুখে মোরবীতে সেতু বিপর্যয়— এত ধাক্কা সামলে গুজরাতে বিজেপির এতখানি একতরফা জয়, এমন প্রবল গেরুয়া ঝড় সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি দলের বহু সমর্থকও। হিমাচলে এমনিতেই প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার...
আসন্ন গুজরাত নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির ভরাডুবি হবে— এমন ভবিষ্যদ্বাণী করা পণ্ডিতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত কার্যত শূন্য। বরং অনেকেই মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্যে ফের এক বার ক্ষমতায় ফিরতে তেমন বেগ পেতে হবে না বিজেপিকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তা সত্ত্বেও এত মাস ধরে কেন বার বার প্রচারের জন্য নিজের রাজ্যে ছুটে যেতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে? কেন মাটি কামড়ে এমন মরিয়া প্রচার? কেন এমন বিপুল তৎপরতা? সত্যিই কি নিজেদের মাটিতে জনতার মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ভয় পাচ্ছেন মোদী-শাহ জুটি?আগামী ১ এবং ৫ ডিসেম্বর...
বিশ্ব অর্থনীতির আকাশে ফের কালো মেঘ। তাবড় অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বড়কর্তা— সকলেই প্রায় এক বাক্যে মানছেন যে, বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কট শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনের বছর তা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, তাতে এর প্রভাব ভারতের উপরেও পড়বে। এমনিতেই ভারতে অর্থনৈতিক সমস্যা অঢেল। বিশ্বজোড়া মন্দার চোখরাঙানিতে সামনের বছরদেড়েক সেগুলি আরও বহু গুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ১৯৩০-এর দশকে হওয়া গ্রেট ডিপ্রেশন বা মহামন্দার কথা আজও কেউ ভোলেননি।...
গত ২ অক্টোবর, এ বারের গান্ধী জয়ন্তীতে কয়েকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন দত্তাত্রেয় হোসাবোলে। তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে চর্চাওহয়েছে বিস্তর। হবে না-ই বা কেন? হোসাবোলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) সাধারণ সম্পাদক। দু’নম্বর নেতা। এবংঅনেকের মতে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সম্ভাব্য উত্তরসূরি। এই ঘোর নরেন্দ্র মোদীর জমানায় এ হেন হোসাবোলের মুখে যদিবেকারত্ব, অসাম্যের মতো বিষয় উঠে আসে, তা সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়ার কথা, কেড়েওছে। এক জন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবেআমার প্রশ্ন হল, হঠাৎ তাঁর গলায় এমন সুর...
আর্থিক নয়ছয় বিরোধী আইন (প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা পিএমএলএ)— কোনও সন্দেহ নেই যে, এই আইনই আজ মোদী সরকারের সব থেকে শক্তিশালী ও মারাত্মক অস্ত্র।এই আইনে বলীয়ান হওয়ায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে যা ক্ষমতা আছে, তা অন্তত পুলিশের হাতে নেই। বিরোধীদের অভিযোগ, এই আইনকে হাতিয়ার করে বেছে-বেছে শুধু বিরোধীদের নিশানা করছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শুধু বিরোধী নেতাদেরই পড়তে হচ্ছে ইডি-র তদন্তের মুখে। সেই ইডি, যা কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অংশ।বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের...