পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভোটে আর্থিক অস্বচ্ছতা রোখার শেষ চেষ্টাটুকুও জলেই গেল। ইলেক্টরাল বন্ড বিক্রির বিরুদ্ধে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর তরফে আইনজীবী প্রশান্তভূষণের দায়ের করা সমস্ত আবেদনই নাকচ করে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আমাদের দুর্ভাগ্য মোদি সরকারের অন্যতম বড় দুর্নীতি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি হল না, দেশের শীর্ষ আদালতকেও বোঝানো গেল না বিষয়টি কেন গণতন্ত্রের পক্ষে অতি বিপজ্জনক। আমাদের ভয়, এ ব্যাপারে আম আদমির চোখ-কান খোলার আগেই না সবটা হাতের বাইরে চলে যায়! সেই কারণে এই লেখার অবতারণা।
শুরুতেই বলে রাখা উচিত ইলেক্টরাল বন্ড কী? এক কথায় ইলেক্টরাল বন্ড হল বিনা সুদের বেয়ারার বন্ডের মতো একটি ব্যবস্থা। এই বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে যত খুশি টাকা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যিনি বা যে দল টাকা নিচ্ছে এবং যারা টাকা দিচ্ছে, তাদের সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকে না। ১০০০ টাকার গুণিতকে অর্থাৎ ১০,০০০, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ ও এক কোটি টাকায় বিক্রি হয় এই বন্ড। বন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে ভূমিকা নেয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (State Bank of India)।
এডিআর-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দেশের সমস্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলির প্রায় অর্ধেকের বেশি টাকা এসেছে ইলেক্টরাল বন্ড থেকে। এই স্কিম থেকে সব চেয়ে উপকৃত দলের নাম ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ইলেক্টরাল বন্ড থেকে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি মোট ২,৭৬০.২০ কোটি টাকা পেয়েছে। এর মধ্যে ৬০.১৭ শতাংশ অর্থাৎ ১,৬৬০.৮৯ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেপি।
বলাই বাহুল্য এত টাকা বিজেপি বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে কে বা কারা দিল, তা জানার কোনও পথ খোলা নেই সাধারণ মানুষের কাছে। যেমন জানা নেই এই টাকা লেনদেনের পূর্বশর্ত কী, লেনদেনের পরে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনো রাজনৈতিক দল কী ভাবে দাতার প্রত্যাশা পূরণ করেন। আর সমস্যাটা এখানেই। ইলেক্টরাল বন্ড আসার আগে দলগুলিকে কিন্তু অর্থের উৎস সম্পর্কে জানাতে হত। কিন্তু এই ব্যবস্থায় সবচেয়ে অন্ধকারে রইলেন করদাতারা। তাঁরা জানতেই পারবেন না তাঁদের মতকে প্রভাবিত করার জন্য কোন ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা কাকে কতটা সাহায্য করেছে। আর গদি উল্টে গেলে এই পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে সরকারের থেকে কী সুবিধে আদায় করছে।
এবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হল, যেহেতু ২০১৮-১৯ সালে বিনা বাধায় ইলেকশান বন্ড বিক্রি করা গিয়েছিল তাই এবারেও ইলেক্টরাল বন্ড বিক্রি আটকানোর কোনও মানে হয় না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সুপ্রিম কোর্ট সেদিনও কোনও কথা শোনেনি। সরকারের পক্ষে এবার কোর্টে সওয়াল করছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল। তিনি সরকারের হয়ে সওয়াল করে বলেন, বন্ড কেনার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ড্রাফট, চেক বা ইলেক্ট্রনিক ট্রান্সফারকেই বৈধ মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে যিনি বন্ড কিনবেন তাঁকে সাদা টাকাতেই তা কিনতে হবে। এই জায়গায় এসে প্রশান্তভূষণ তাঁকে মনে করিয়ে দেন, যে কেউ বেনামে ওই সাদা টাকায় কেনা বন্ড পুনরায় কিনতে পারেন এবং তাঁর প্রিয় রাজনৈতিক দলকে তা উপহার দিতে পারেন।
কেউ কখনও জানতেই পারবে না আসল ক্রেতার থেকে কে এই বন্ডটা কিনেছিল। ফলে এই স্কিম আসলে এক ধরনের ফাঁদ। প্রশান্ত ভূষণ আরও একটা বিষয়ে আলো ফেলছিলেন। তিনি দেখান, একদিকে যেমন কারা টাকা দিচ্ছে তা করদাতা জানতে পারছেন না, তেমনই সরকারে থাকা শাসক-দলের প্রতিনিধিরা কিন্তু জেনে যাচ্ছে মোট কী পরিমাণ টাকা এল, তারা বাদে আর কারা কত টাকা পেল। প্রশান্তের যুক্তিটি খুবই স্পষ্ট। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের ৮০ শতাংশের মালিক ভারত সরকার। তাদের পক্ষে কে কাকে কত টাকা দিচ্ছে তা বোঝা আদৌ কঠিন নয়। উল্লেখ্য, সাংবাদিক পুনম আগরওয়াল ল্যাবরেটারি টেস্ট করে দেখেছেন প্রত্যেক ইলেক্টরাল বন্ডে একটা সিরিযাল নং রয়েছে, অর্থাৎ সহজেই বোঝা যাবে কে বা কারা এই টাকা দিচ্ছে।
দ্য রিপোর্টার্স কালেক্টিভের সদস্য নীতিন শেট্টি পয়সা পলিটিক্স নামে একটি সিরিজে এই বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন। তিনি দেখান, এই বন্ড কেনা নিয়ে কী ভাবে মোদি সরকার নির্বাচন কমিশন, সংসদের সব বিরোধী থেকে দেশের সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকারও তোয়াক্কা করেনি এই শাসক। সরকারের তরফে বারংবার বলা হয়েছে এই স্কিমে ডোনারের নাম প্রকাশ্যে আনা হবে না। বলা হয়েছে লেনদেনের গোপনীয়তা আর্থিক দুর্নীতি এড়াতে, কিন্তু এ সব কথাই নির্জলা মিথ্যে।
২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সংসদে প্রথম ইলেক্টোরাল বন্ড বাজারে আনার কথা বলেন। অবশ্য এর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সম্মতির দরকার ছিল। জানুয়ারির ২৮ তারিখই অর্থমন্ত্রক থেকে ই- মেইল যায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তদানীন্তন ডেপুটি গভর্নর রামা সুব্রমনিয়ম এবং সেকেন্ড ইন কম্যান্ড উরজিৎ প্যাটেলের কাছে। আরবিআই-এর তরফে দুদিনের মধ্যে জানানো হয়, এই ইলেক্টরাল বন্ড অনেকটা বেয়ারার বন্ডের মতো, যেখানে মালিক হবেন বেনামী, শেষমেশ রাজনৈতিক দলের হাতে কে বা কারা টাকা তুলে দিল তা জানার উপায় থাকছে না। এক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সম্মতিসূচক মতদান মানেই ভারতীয় মুদ্রার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা নষ্ট হওয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কিং নীতিটাই এভাবে নষ্ট হতে পারে।
এই ধরনের বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতামতকে সবসময়েই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাছাড়া সংশোধনী আনার আগে নানা দফতরের মন্ত্রীদর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়াটাও রীতি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা দেখলাম, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তাদের দেওয়া বার্তাকে মুহূর্তে নস্যাৎ করে দিলেন তৎকালীন রেভিনিউ সেক্রেটারি হাসমুখ আধিয়া। তিনি অরুণ জেটলি এবং ইকনোমিক সেক্রেটারিকে লেখেন আরবিআই আমাদের প্রস্তাবনাটা সম্ভবত ধরতে পারেনি। আমরা এই প্রিপেইড হাতিয়ারটাকে ব্যবহারকারীর নাম গোপন রেখে ব্যাবহার করতে চাইছি যাতে শুধু মাত্র আয়করদাতারাই এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, আরবিআই-এর মত আসতে অনেকটা দেরি হয়ে গেল ফিনান্স বিল প্রিন্ট করাও হয়ে গিয়েছে। ফলে আমাদের এই প্রস্তাবনাকে অনুমোদন দিতেই হচ্ছে। জেটগতিতে সেদিন এই প্রস্তাবনায় সই করেন অরুণ জেটলি। প্রশ্ন হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-কে কি এই সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিল?
এই ঘটনাপ্রবাহের ফল যেটা হল তা গণতন্ত্রের পক্ষে খুব শুভ নয়। আগে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক খাতে বিনিয়োগের খতিয়ান দেখাতে হত অর্থবর্ষের শেষে। কোনও রাজনৈতিক দলকে বার্ষিক মুনাফার ৭ .৫ শতাংশের বেশি অনুদান দেওয়ার এক্তিয়ার ছিল না কর্পোরেট সংস্থার। এখন আর সেই দায়ও রইল না। এমনকি বিদেশী সংস্থা যাতে ঘুরপথে টাকা ঢালতে পারে তার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হল। এমনকি আরটিআই করেও যাতে কারা কত টাকা দিচ্ছে তা জানা না যায় সেই ব্যবস্থাও করে দিল অর্থমন্ত্রক। * (ভারতীয় সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদ দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের মত প্রকাশের অধিকারকে সুনিশ্চিত করে। তথ্য জানার অধিকারও এই ধারার মধ্যে পড়ে বলে সুপ্রিম কোর্ট মনে করে। একে বাস্তবে প্রয়োগ করতে তৈরি হয় তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই) ২০০৫। )
আরবিআই চেয়েছিল সর্বোচ্চ কতগুলি বন্ড কেন যাবে তা বেঁধে দিতে, এই প্রস্তাবেও সাড়া দেয়নি কেন্দ্র। উল্লেখ করা জরুরি, ২০১৭ সালের মে মাসে ইলেক্টরাল বন্ড সংক্রান্ত সংশোধনী নিয়ে অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টিকে পশ্চাদপসরণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয় কমিশনের তরফে। ওই মাসে আইন মন্ত্রককে লেখা এক চিঠিতে কমিশনের তরফে জানানো হয়, সরকার যেন বিষয়টির পুনর্বিবেচনা করে। সংশ্লিষ্ট সংশোধনে যেন পরিবর্তন আনা হয়। বলাই বাহুল্য কমিশনের কথাতেও কর্ণপাত করেনি কেন্দ্র।স সব মিলিয়ে আমরা যাকে নাগরিক অধিকার প্রয়োগের একমাত্র সুযোগ ভাবি সেই নির্বাচনই ব্যবসায়িক একটি প্রহসনে পরিণত হল বিজেপি শাসিত সরকারের কৌলীন্যে।
এখন, এই নিয়মকেই রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি কী ভাবে কাজে লাগাল, সেই প্রসঙ্গ টেনেই শেষ করব এই লেখা। বিজেপি যেটা করেছিল তাতে প্রবাদে বলে, প্রথম রাতেই বেড়াল মারা। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানায় জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই, অক্টোবরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দশ দিন করে বন্ড বিক্রি করবে। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রাক্কালে ঐচ্ছিক ৩০ দিন বরাদ্দ হয় বন্ড বিক্রির জন্য। নীতিন শেট্টির রিপোর্ট স্পষ্ট তুলে ধরেছে, অন্তত দু’বার বিধানসভা ভোটের আগে এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরই এই অর্থমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে বন্ড কেনাবেচা চালু করতে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমবার বন্ড কেনাবেচা হওয়ার কথা ছিল এপ্রিল ২০১৮-তে। কিন্তু দেখা যায়, মার্চেই এই জানলা খুলে গেল। মোট ২২২ কোটি টাকার অনুদান এল যার ৯৫ শতাংশই পেল বিজেপি। এপ্রিলের দশ দিনের জায়গায় মার্চে কেনাবেচা হল, অর্থাৎ ধরে নিতে হয় এপ্রিলে লেনদেন হবে না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশেই এপ্রিলেও দশদিন কেনাবেচা চলল। এই দফায় উঠল ১১৪ কোটি নব্বই লক্ষ টাকা। এতেও পেট ভরেনি সরকারবাহাদুরের। মে মাসে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আরও একবার মে মাসেই দশদিনের জন্য খোলা হল বন্ড কেনাবেচা। অর্থ মন্ত্রকের এক অফিসার দেখেন এই যে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হচ্ছে বন্ড কেনাবেচার, এখানে টাকা উঠছে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। আর্থিক দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিজয় কুমার বলেন, নোটিফিকেশনের আট নং অনুচ্ছেদে স্পষ্টই লেখা রয়েছে ইলেক্টরাল বেয়ারার বন্ড লেনদেন লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য অর্থাৎ আলাদা করে বিধানসভার জন্য এখান থেকে অর্থ সরানো যাবে না। তিনি চাইছিলেন এমনটা করতে চাইলে প্রকাশ্যে নিয়মে সংশোধনী আনা হোক, বিধানসভার নামটাও জুড়ে দেওয়া হোক। তাঁর প্রস্তাব ফুৎকারে উড়িয়ে দেন আর্থিক বিভাগের আমলা এস সি গর্গ। তিনি বলেন,"আমরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ লেনদেনের জন্য যদি কোনও বিশেষ পথ খোলা রাখতে চাই, তা বারংবার খোলা যেতে পারে, এর জন্য কোনও সংশোধনীরও দরকার নেই।" অর্থমন্ত্রককে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিল হাফপোস্ট। অর্থমন্ত্রক বিষয়টিকে জনস্বার্থ নেওয়া সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করতে বলে। প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও। কোনও উত্তর আসেনি।
২০১৮ সালের নভেম্বর ডিসেম্বরে ভোট ছিল ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, তেলেঙ্গানায়। এবারেও অর্থ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিজয় সিংহ তাঁর সিনিয়রদের কাছে একটি বিশেষ লেনদেন শুরু করার প্রস্তাব দেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন কর্নাটক বিধানসভা ভোটের আগে অর্থমন্ত্রীই এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছিল। এই দফায় ১৮৪ কোটি টাকা এসেছিল এসবিআই-এর ইলেক্টরাল বন্ডে।
এখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে, নির্বাচন কি আর নিছক নির্বাচন রয়েছে, নির্বাচনে যারা এ ভাবে সাহায্য করেন, সেই এক-দুটি সংস্থাকে যে সারাবছর সরকারি নানা সাহায্য পাইয়ে দেবে, তা তো প্রশ্নাতীত সত্য। এই কর্পোরেটরাই বাজারে দাপাবে সম্বৎসর। বাজারে একচেটিয়াকরণ হবে, ভোট ব্যবস্থাতেও অর্থের প্রভাবে একচেটিয়াকরণ হবে, তারপর একদিন হয়তো ভোটদানের ব্য়বস্থাটাই আর থাকবে না। পাঠক কি শেষের সে দিন দেখতে পাচ্ছেন? ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার যাকে স্বচ্ছতার পথে এগিয়ে যাওয়া বলে দাবি করছে, তা কি আসলে অনেকটা পিছিয়ে যাওয়া নয়?