জরুরিতর অবস্থা

প্রায় ঘণ্টা দশেক আমি দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের অফিসে বসেছিলাম। আর এই চা-কুলচা-ছোলার প্রশ্ন আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে কম করে হলেও প্রায় দশবার। ৩ অক্টোবর, ভোর তখন সাড়ে ৬ টা। ব্রেকফাস্ট হয়নি তখনও। ছেলে কলেজ যাওয়ার জন্য বেরোচ্ছে, বাইরে ছাড়তে গিয়ে দেখি দরজায় ন' জন পুলিশ। নিউজক্লিকের বিষয়ে প্রশ্ন করতে এসেছেন। দু’ঘণ্টা এই পুলিশরা গুরগাঁওয়ে আমার ঘরে বসে রইলেন। আমার স্ত্রী তাঁদের চা-জল খাওয়ালেন। একের পর এক প্রশ্ন শুরু করলেন পুলিশকর্মীরা। মোবাইল চাইলেন। আমি বললাম, মোবাইল নেওয়ার আগে আমাকে লিখিত দিন, কেন চাইছেন। পুলিশরা সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁদের এই অধিকার আছে। বললেন, ওদের সঙ্গেই স্পেশ্যাল সেলের অফিস যেতে। পুলিশের সেই স্পেশ্যাল সেলের অফিস পৌঁছলাম প্রায় ১০ টা নাগাদ বা তারও খানিক আগেই হবে। আমি সত্যিই জানি না, UAPA-তে (Unlawful Activities Prevention Act) কোনও এফআইআর দায়ের করা হলে ঠিক কী কী নিয়ম মেনে জিনিস বাজেয়াপ্ত হয় বা আটক করা হয়। তবে লিখিত কোনও প্রমাণ ছাড়া মোবাইলের মতো ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক গেজেট আমি দেব না। দিইওনি। স্পেশ্যাল সেলের অফিসে ওরা আমাকে সিজার মেমো ধরিয়ে দিল। ফোন সিম সব পুলিশের হাতে। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে যখন বেরোচ্ছি, সন্ধ্যা ৬ টা বাজে। ফোন আর সিম অবশ্য তার আগেই ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে আমাকে। আমার ভাগ্য ভালো বলতে হয়। কারণ আরও যে গোটা ৫০ জনের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তা ফেরত দেয়নি, ল্যাপটপ ফেরত দেয়নি, পাসপোর্টও রেখে দিয়েছে! পরে সেসব জানতে পেরেছিলাম।

এই প্রায় ৮ ঘণ্টা বসিয়ে চা-কুলচার পাশাপাশি যে প্রশ্নগুলি আমাকে বারবার ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো অত্যন্ত স্পষ্ট, সেগুলোর পিছনে লুকিয়ে থাকা উদ্দেশ্যটাও অত্যন্ত স্পষ্ট। আমাকে বারেবারে জিজ্ঞেস করা হয়েছে আমি দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে লিখেছি কিনা, বলেছি ‘না লিখিনি’। কৃষক আন্দোলন লিয়ে লিখেছি কিনা, বলেছি, ‘হ্যাঁ লিখেছি, ভিডিওতে আলোচনাও করেছি'। জিজ্ঞেস করা হয়েছে নিউজক্লিকের সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক, জানিয়েছি যে আমি আসলে একজন উপদেষ্টা, কনসালট্যান্ট। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, আমি সিগনাল অ্যাপ ব্যবহার করি কিনা। হংকংয়ে ফোন করেছিলাম কিনা। বললাম 'হ্যাঁ, করেছি। একজনের সাক্ষাৎকার নিতে ফোন করেছি।' অস্ট্রেলিয়ায় ফোন করেছি কিনা জিজ্ঞেস করা হলো, বললাম 'হ্যাঁ, ওখানে আদানি ওয়াচ নামের একটি পোর্টালে আমি মাঝেসাঝেই লিখি। তাই কথা তো বলতেই হয়েছে। সবচেয়ে হাস্যকর হচ্ছে, পুলিশ আমাকে জিজ্ঞেস করল, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এস ভাটনাগরের সঙ্গে কথা বলেছেন?’ বললাম, 'হ্যাঁ! না বলে উপায় কী, তিনি তো সম্পর্কে আমার শালা!’

সাব-ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টর, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এমন পদমর্যাদার আটজন মানুষ ছিলেন। সবাই মিলেই আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এত কিছু সেরে যখন বাইরে বেরোচ্ছি, দলে দলে সাংবাদিক অপেক্ষা করে আছেন, কী বলব আমি! আমি নিজে সাংবাদিক হিসেবে ৪৬ বছর কাটিয়েছি। আমি ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো স্বীকৃত এক সাংবাদিক। বাইরে বেরোতে ক্যামেরার ঠেলাঠেলি আর একের পর এক প্রশ্ন, সেই একই প্রশ্ন আমি আটঘণ্টা ধরে পুলিশের থেকে শুনে এসেছি। সবাই উত্তর চায়! ততক্ষণে আমি মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্ত। গাড়িতে উঠতেই যখন মাইক্রোফোনগুলি প্রায় আমার মুখে গুঁজে দেওয়া হচ্ছিল, আমি ঠিক করলাম উত্তর দেব। কী জানতে চান বলুন। যেমন উত্তর চান তেমনই দিলাম! আমি বললাম, মোদিজি মহান হ্যায়। মোদিজি ভগবান কা অবতার হ্যায়! যা শুনতে চায় মূলধারার মিডিয়া, তাই বললাম।

নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিউজক্লিকের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মী অমিত চক্রবর্তীকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। অনেকেই জানেন না, অমিত শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষম। পুলিশ তাঁকেও রেহাই দিল না। মাথায় ঝুলিয়ে দেওয়া হলো UAPA-এর খাঁড়া। ততক্ষণে পুলিশ মোবাইল-ল্যাপটপ নিয়ে যা করার করে নিয়েছে। এই প্রথম যে আমার ফোন থেকে সব ডেটা বের করে নেওয়া হলো তা তো না। যখন পেগাসাস তদন্ত চলছিল, তখন আমার ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছিল... তিন বার ইউরোপ আর কানাডায়, একবার দিল্লিতে এবং একবার কলকাতায়।

দেশের সবচেয়ে জঘন্য, ভয়াবহ আইন UAPA। সুতরাং, আমি বিষয়টাকে এখন যেভাবে দেখছি সেটা বলি। অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজক্লিকের অফিসগুলিতে অভিযান চালিয়েছিল। এর পরে, আয়কর বিভাগ আসে, অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার পুলিশরা আসে। তারপরে নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে একপ্রকার জোর করেই স্থগিতাদেশ জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট। এখনও শুনানি শুরু হয়নি, তার মাঝেই এইসব ঘটে গেল। আসলে তারা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA), ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (FEMA), বা আয়কর আইনের অধীনে এই সাংবাদিকদের ধরতে পারেনি রাষ্ট্র। তাই অবশেষে ইউএপিএ দিয়ে অন্তত সাত দিনের জন্য তো পুলিশের হেফাজতে ঢোকানো গেল!

তাহলে সাংবাদিকদের এই হেনস্থা, এই ভয় দেখানো কি স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে সরকারের চ্যালেঞ্জ? হ্যাঁ, এটা হেনস্থাই, ভয় দেখানোই। লোক বেছে বেছে ভয় দেখানো হয়েছে। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, যাঁরা হয়তো এই পোর্টালের জন্য মাত্র কয়েকটি লেখা লিখেছেন তাঁদেরও একই হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার, যিনি সদ্য কাজ শিখছেন তাঁকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ক্যামেরাপার্সনদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে! কী উদ্দেশ্য এর? UAPA ব্যবহার করে, বা বলা ভালো এর অপব্যবহার করে স্বাধীন সাংবাদিকদের ভয় দেখানোই লক্ষ্য। আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাব না ফাদার স্ট্যান স্বামীর কী হয়েছিল, কিন্তু সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে এমনটা কখনও হয়নি। বোঝাই যাচ্ছে, সমস্ত স্বাধীন সাংবাদিকদের সরকার এখন বুঝিয়ে দিচ্ছে, রাষ্ট্র চাইলে ঠিক কী কী করতে পারে।

যারা দেশ চালানোর ক্ষমতায় রয়েছেন তাঁরা চান না এই দেশে স্বাধীন, সমালোচনামূলক সাংবাদিকতা অব্যাহত থাকুক। আরও দারুণ এবং একইসঙ্গে করুণ ব্যাপার হচ্ছে যে, আমাদের দেশে সাংবাদিকদের মধ্যেই সংহতি নেই। এই ৪৬ বছর ধরে সাংবাদিকতা করে বুঝেছি সাংবাদিকরা নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে খারাপ শত্রু। মিডিয়ার মেরুকরণের বিষয়ে কথা বলতে গেলে আগে স্বীকার করতেই হবে যে ভারতীয় সমাজ এখন শুধুমাত্র ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভাজিত না, রাজনৈতিক দিক থেকেও টুকরো টুকরো হয়ে আছে আমাদের দেশ। আমার সহকর্মী সাংবাদিকদের একটা বড় অংশই এখন সরকারের সুরে কথা বলতে চায়। তাঁরা ক্ষমতায় থাকা এই শাসকদের চ্যালেঞ্জ করে প্রশ্ন তোলে না। কেউ সরকারকে চটাতে চায় না, কেউ আবার সত্যিই সরকারের পলিটিক্যাল লাইনকেই আদর্শ মনে করে, তারা তাতেই বিশ্বাসী, আবার অনেকের কাছে কোনও বিকল্প নেই, সরকারি বিজ্ঞাপন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার কাছে টিকি বাঁধা আছে। মালিকের সুরেই তোতা কথা বলবে, স্বাভাবিক!

মজার বিষয় হলো, অনেক ভারতীয় সাংবাদিক এখন ক্ষমতাসীন দলের চেয়ে বেশি বিরোধীদের সমালোচক! মনে রাখতে হবে, নরেন্দ্র মোদিই হলেন প্রথম এবং একমাত্র ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি কখনও একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি যেখানে সাংবাদিকরা নির্দ্বিধায় তাঁকে প্রশ্ন করতে পারেন। তিনি বেছে বেছে নির্দিষ্ট সাংবাদিকদের-অভিনেতাদের সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এবং সেখান ওই আম চুষে খান না গিলে খান জাতীয় প্রশ্নই করা হয়েছে।

এই কয়েক দিনের অভিজ্ঞতা আমাকে ১৯৭০-এর দশক মনে করিয়ে দিচ্ছে, মনে করিয়ে দিচ্ছে দেশে জারি হওয়া জরুরি অবস্থার কথা। তবে সেই সময়ও গণমাধ্যমের এত বড় একটি অংশকে ক্ষমতাসীন দলের এত অধীনস্থ থাকতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। আমি মিডিয়ার অনেকদিক নিয়েই গভীরভাবে হতাশ, এই পেশার অনেক সহকর্মীর মনোভাব এবং কাজ দেখে আমি হতাশ। তবে তাঁরাই তো সবটা নয়। স্বাধীন চিন্তা করে, যুক্তিকে সম্মান করে, সমালোচনা করে এমন মানুষ আছেন, এমন সাংবাদিক কাজ করছেন বলেই সরকার ভয় পাচ্ছে। জরুরি অবস্থার কথা এখানে একটু বলা দরকার। 'সুশাসন' কাকে বলে জরুরি অবস্থা সেই ধারণাটিই বদলে দেয়। ইন্দিরা গান্ধী সংবিধানের ৩৫২ নং ধারা ব্যবহার করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। নির্বিচারে অনেক বিরোধী, সাংবাদিকদের জেলে ভরা হয়। জরুরি অবস্থা অবশ্যই অতি বিরল ঘটনা, তবে এও ঠিক যে আমরা বুঝতে পেরেছিলাম চিরদিন এমন যাবে না। ইন্দিরা খানিক তাড়াহুড়ো করেই জরুরি অবস্থা জারি করে দেন, খানিক সঞ্জয় গান্ধী এবং পারিবারিক আত্মীয়-বন্ধুদের চাপে পড়েই। ইন্দিরা-সঞ্জয়ের সরকার অনেক সাংবাদিককে জেলে পুরে রেখেছিল। বাংলাতে গৌরকিশোর ঘোষকেও জেল খাটতে হয়। তবে ১৯ মাসের মাথাতেই আস্তে আস্তে সাংবাদিকরা মুক্তি পান, বিরোধীরা বেরিয়ে আসেন কারাগার থেকে।

এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার ৯ বছরের উপর ধরে ধীরে ধীরে গণতন্ত্রকে ছুরি মেরে চলেছেন। এখন যেন জরুরিতর অবস্থা! যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও মুহূর্তে 'দেশদ্রোহী' হয়ে যেতে পারেন, তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা জারি করে জীবন দুর্বিষহ করে দেওয়া হতে পারে। বিষয়টা খানিক যেন মিসার (মেইনটেনেন্স অব ইন্টারনাল সিকিওরিটি অ্যাক্ট) মতোই। নিজের সপক্ষে যুক্তি খাড়া করতেই দেওয়া হবে না। সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগে জেলে পুরে রেখে দেওয়া হবে। খুব ভেবেচিন্তেই লোক নির্বাচন করা হয় যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়। ৮৩ বছর বয়সি স্ট্যান স্বামী প্রয়োজনে স্ট্র টুকুও পান না। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সওয়াল করার 'শাস্তি' এটাই। অন্যায়কে অন্যায় বলার, যুক্তি খোঁজার 'শাস্তি' এটাই।

স্বাধীন ওয়েব পোর্টাল নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে অসাধারণ সব অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনে বলে, মার্কিন প্রযুক্তি বিলিয়নেয়ার নেভিল রায় সিংহমের মালিকানা এবং নির্দেশনায় চলা বিভিন্ন ট্রাস্ট এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে নিউজক্লিক বিপুল টাকার বিনিময়ে চিনের রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা প্রচার করছে। তার মানে কি চিনের পয়সা আমেরিকা হয়ে ঘুরে ফিরে ভারতে আসছে? তা কি বেআইনিভাবে এসেছে? এই প্রশ্নের উত্তর আমি ব্যক্তিগতভাবে পাইনি। আদালত নিশ্চয়ই এর উত্তর দেবে। দিল্লি পুলিশ নিজেদের এফআইআরে উল্লেখ করে, কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অংশ হিসেবে না দেখানোর চেষ্টা করেছে নিউজিক্লিক; কোভিডের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের লড়াইকে অসম্মান করেছে নিউজক্লিক; কৃষকদের আন্দোলনে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে নিউজিক্লিক। যদি এসব করেও থাকে, তা কি বেআইনি? আমাদের মৌলিক অধিকার তো আছেই প্রশ্ন করার, সমালোচনা করার।

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি দেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত সংবাদপত্রের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে আস্তে আস্তে নেমে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক এনজিও রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬১ নম্বরে আছে ভারত (২০২৩)। কীভাবে আছে তা আমার এতক্ষণ বলা কথাতেই টের পাওয়া যাচ্ছে। 'দেশদ্রোহী' শব্দটি ভারতে একপ্রকার 'জনপ্রিয়' করে ফেলেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। হিন্দু জাতীয়তাবাদী একটি শক্তি এসে দেশের স্বাধীন চিন্তা, প্রশ্ন করার অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সাংবাদিকতার মূল কাজ ছিল সত্যকে খোঁজা। অনেকেই তা বিস্মৃত হয়েছেন, বলা ভালো রাষ্ট্রশক্তি সুচারুভাবে তা ভুলিয়ে দিচ্ছে। জরুরিতর অবস্থা আজ দেশে। এই সময়টা চুপ থাকার নয়, আমাদের কলম, শব্দ, চিন্তা দিয়ে চিৎকারের সময়।


অনুলেখক- মধুরিমা দত্ত

Featured Book: As Author
Flying Lies?
The Role of Prime Minister Narendra Modi in India's Biggest Defence Scandal
Also available:
 
Documentary: Featured
Featured Book: As Publisher
Sue the Messenger
How legal harassment by corporates is shackling reportage and undermining democracy in India